করোনাভাইরাসের নতুন ধরণের (ভ্যারিয়ান্ট) সংক্রমণ বাড়ছে চীনে। এরই মধ্যে দৈনিক করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করতে অপরাগতা জানিয়েছে দেশটি। এমনকি বিধিনিষেধ শিথিল করার পাশাপাশি সীমান্তও খুলে দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির চীন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, চীনকে অবশ্যই করোনার নতুন ধরণের প্রভাব সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।
খবর বিবিসির।
ডব্লিউএইচওর বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, চীনে সংক্রমণ বাড়ছে। চীনের কর্মকর্তাদের অবশ্যই কোভিড সম্পর্কিত আরও তথ্য যথাসময়ে দিতে হবে। ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি, আইসিউতে থাকা রোগী ও মৃতদের তথ্য দিতে হবে চীনা প্রশাসনকে। একইসঙ্গে টিকার আওতায় আসাদেরও তালিকা প্রকাশ করতে হবে তাদের।
বিক্ষোভের জেরে সম্প্রতি সময়ে করোনার অনেক কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। তবে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ চীন ফেরত যাত্রীদের বিষয়ে কঠোরতা দেখাচ্ছে অর্থাৎ কোভিড পরীক্ষা করছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যতে আসা চীন ফেরত যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হচ্ছে।
চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি জানায়, তাদের কাছে ফের মহামারির রিয়েল-টাইম তথ্য চেয়েছে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া ৬০ বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে কি না এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, তারা চীনকে সহায়তা করতে সর্বদা প্রস্তুত। একইসঙ্গে টিকা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। করোনার নতুন ধরণের ঝুঁকি ও নজরদারির ওপর জোর দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
কোভিড-১৯ নিয়ে গত মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন ডব্লিউএইচওর পরামর্শক কমিটি। ওই তারা জানিয়েছিল, চীনে পাওয়া যাওয়া করোনার নতুন ধরণের জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য চীনা বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে, চীনের হাসপাতালগুলো করানোভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। শ্বাসকষ্টে ভোগা অনেক বয়স্ক রোগীতে শয্যা ভর্তি। চলমান মহামারিতে সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেরা আক্রান্ত হলেও সেবা দিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।